Subscribe to Feed


PS: basic tutorial

2D গ্রাফিক্সের জগতে ফটোশপ এক অনন্য নামকী করা যায় না এতে!!!এনিমেশন,ব্যানার ডিজাইনিং,লোগো ডিজাইনিং,ওয়েব ডিজাইনিং,টেক্সট ইফেক্ট......আরো কত কি!!! ফ্রিল্যান্সিংএ তথা আউটসোর্সিং ইনকামেও রয়েছে এর ব্যাপক প্রসারসুপ্রিয় বন্ধুরা,ফটোশপের জনপ্রিয়তা আর এর আবেদনের কথা মাথায় রেখে আমরা তাই আজ থেকে আপনাদের কাছে পর্বভিত্তিক ফটোশপ টিউটোরিয়াল উপস্থাপন করছিআশা করি আপনাদের ভালো লাগবে
আজ আমরা ফটোশপ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা নেব।(আমি এক্ষেত্রে photoshop cs ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে,তবে এতে পাঠকদের বুঝতে কোনো অসুবিধা হবে না,কারণ,সকলের বধোগম্য হওয়ার জন্যই আমি এই ভার্সনটা বেছে নিয়েছি)সম্পূর্ণ বেসিক বর্ণনার মাধ্যমে দেয়া সম্ভব নয়ফটোশপ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা লাভ করবেন বিভিন্ন প্রজেক্ট করার মাধ্যমে যা পরবর্তী পর্ব থেকে শুরু করেছিতবে প্রজেক্ট সহজে বুঝার জন্য যা কিছু জানা প্রয়োজন তা এ পর্বে আলোচনা করা হয়েছে
ফটোশপ ইন্সটলেশনের পরে(ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া অন্যান্য সাধারণ সফটওয়্যারের মত বলে তা দেখানো হল না)তা রান করলে পাশের ছবির মত উইন্ডো দেখতে পাবেন
এর উপরের দিকে আছে মেনুবার


আর ডানে আছে প্যালেট




চিত্রে প্রদত্ত প্রতিটি ট্যাবই একেকটি প্যালেট,যেমন নিচের দিকে আছে লেয়ার প্যালেট,চ্যানেল প্যালেট এবং পাথ প্যালেটএর মধ্যে লেয়ার প্যালেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণপ্রতিটি লেয়ার একেকটি স্বচ্ছ কাঁচের মত কাজ করে,যে কাঁচের ভিতর দিয়ে এর নিচে অবস্থিত কাঁচে(লেয়ারে) আঁকা ছবিটি দেখা যায়আপনি ইচ্ছা করলে উপরের কাঁচেও(লেয়ারেও) ছবি আঁকতে পারেন,দেখে মনে হবে যেনো,উপরের কাঁচের(লেয়ারের) ছবিটি নিচের কাঁচের(লেয়ারের) ছবিরই একটি অংশউপরের কাঁচের(লেয়ারের) ছবিটি মুছলেও নিচের কাঁচের(লেয়ারের) ছবির উপর এর প্রভাব পড়বে নাএটিই লেয়ারের বৈশিষ্ট্যউপরের দিকে আছে swatches color প্যালেট,যা ফরগ্রাউন্ড ও ব্যাকগ্রাউন্ড কালার ঠিক করতে ব্যবহৃত হয়এছাড়াও আছে style প্যালেটঅবশ্য এই প্যালেটের কাজ Blending option থেকেও করা যায়এই ব্যাপারে আপনারা পরে জানতে পারবেন
বামদিকে আছে টুল প্যালেট

এতে আছে......
১)মুভ টুলঃ এর মাধ্যমে ছবির যেকোনো অংশকে অথবা পুরো ছবিকে মুভ করা হয়
২) )Marquee tool: ছবির যেকোনো অংশ সিলেক্ট করা হয় এর মাধ্যমেএর বিভিন্ন shape আছেএর আইকনের নিচের কোণায় ক্লিক করলে এর অন্যান্য shape গুলো দেখা যায়এই টুলের অধীনে যেসব
টুল থাকে তারা হল
ক)Rectangle marquee tool
খ)Elliptical marquee tool

গ)Single row marquee tool
ঘ)Single column marquee tool


৩)Magic wand tool:  এর মাধ্যমে ছবির কোনো জায়গায় ক্লিক করলে ওই জায়গায় যে রঙ থাকে,ছবিতে ওই রংবিশিষ্ট যত জায়গা আছ,ওই জায়গাগুলো একসাথে সিলেক্ট হয়।(প্রজেক্ট করতে গেলে ব্যাপারটা আরো ভালো ভাবে বুঝা যাবে।)


৪)Lasso tool:  এর অধীনে তিনটি টুল আছে......

ক)Lasso tool: এই টুলটির মাধ্যমে ছবির যে জায়গা সিলেক্ট করতে হবে তার উপর মাউস দিয়ে ধরে ড্র্যাগ করে ঘুরিয়ে যেখান থেকে সিলেকশান শুরু করা হয়েছিল সেখানে এনে শেষ করতে হয়ফলে একটি লুপ তৈরি হবে
খ)Polygonal lasso tool: এর কাজও একই তবে এর সাহায্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর ক্লিক করতে করতে প্রয়োজনীয় জায়গা সিলেক্ট করতে হয়।(প্রজেক্ট করতে গেলে ব্যাপারটা বুঝা যাবে)
গ)Magnetic lasso tool: এক্ষেত্রে মাউসে ক্লিক করে ধরে রাখতে হয় নাযেখান থেকে সিলেক্ট করা শুরু করবেন সেখানে একটি ক্লিক করে যে জায়গা সিলেক্ট করতে হবে তার কিনারা বরাবর মাউস ঘুরিয়ে আনুনতবে এক্ষেত্রে যে জায়গা সিলেক্ট করবেন তা এক কালারের হওয়া উচিতএই টুলটি নিজে নিজেই একই রঙ ডিটেক্ট করতে করতে সিলেকশান তৈরি করবে।(প্রজেক্ট করতে গেলে ব্যাপারটি আরো ভালোভাবে বুঝা যাবে)


৫ )Brush tool: এর দুটি টুল......
Brush tool:
এটি হল তুলিএর ডায়ামিটার,সাইজ ইত্যাদি, মেনুবারের নিচের আরেকটি বার থেকে নির্ধারণ করা হয়
Pencil tool: এটি হল পেন্সিল যা সাধারণ পেন্সিলের মতই কাজ করে।



৬) ক)Clone stamp tool:  
এটি সিলেক্ট করে ডাযামিটার ঠিক করে ছবির কোনো অংশে Alt বাটন ধরে ক্লিক করলে,টুলটির ডায়ামিটার যত,তত ডায়ামিটার বিশিষ্ট এরিয়ার মধ্যে ছবির ঐ অংশের একটি কপি তৈরি হয়এখন মাউসটিকেছবির অন্য কোথাও ক্লিক করলে ক্লিক করা স্থানে একটি বৃত্ত দেখা যাবে(বৃত্তের ব্যাস হবে টুলটির জন্য সিলেক্টেড ডায়ামিটার) এবং এর নিচে যেখানে Alt ধরে ক্লিক করে ছবির একটি অংশ কপি করা হয়েছিল সেখানে একটি (+)চিহ্ন দেখা যাবে এবং কপি করা অংশটি ঐ বৃত্তের মধ্যে পেষ্ট হবেএখন ক্লিক করে ছেড়ে না দিয়ে মাউস ড্র্যাগ করতে থাকলে বৃত্ত এবং (+)চিহ্ন উভয়েই ড্র্যাগ হবে নিজেদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেএক্ষেত্রে (+)চিহ্ন যেখানে যাবে ছবির সে অংশের একটি কপি তৈরি হবে এবং তা বৃত্ত যেখানে থাকবে সেখানে পেষ্ট হবে


খ)Pattern stamp tool: ফটোশপে কিছু বিল্ট-ইন প্যাটার্ন আছেযেকোনো প্যাটার্ন সিলেক্ট করে এই টুল দিয়ে ছবির যেকোনো অংশে অই প্যাটার্ন আঁকা যায়

৭ )Blur tool,Sharpen tool,Smudge tool:
Blur tool দিয়ে কোনো ছবি ঝাপসা করা হয়এক্ষেত্রে মাউস দিয়ে বারবার উক্ত জায়গায় ড্র্যাগ করা হয়
Sharp tool দিয়ে ড্র্যাগ করে ছবির Sharpness বাড়ান হয়।
Smudge tool দিয়ে ড্র্যাগ করলে নিচের মত ইফেক্ট পাওয়া যাবে


৮)Dodge,Burn Sponge tool:
Dodge tool দিয়ে ড্র্যাগ করে ছবির Brightness বাড়ান হয়।
Burn tool দিয়ে ড্র্যাগ করার ফলে কালার বার্ন ইফেক্ট লাভ করে
Sponge tool দিয়ে ড্র্যাগ করে ছবি সাদা কালো করা হয়

৯)Eyedropper tool:  এটি সিলেক্ট করে ছবির যে জায়গায় ক্লিক করা হবে সেই জায়গার রঙ forground color হিসেবে সেট হবে


........এছাড়াও Zoom tool দিয়ে ছবি বড়-ছোট করা,
Shape tool
দিয়ে নিচে প্রদত্ত Shape গুলো তৈরি করা যায়........

টুলপ্যালেটের নিচের দিকে পাশের চিত্রের মত দুটি color এর আইকন দেখা যায়উপরের color টি Forground color এবং নিচের color টি Background color.

ফটোশপে যে প্লাটফর্মে কাজ করা হয় তাকে ডকুমেন্ট বলেমেনুবারের File থেকে New কমান্ড দিলে ডকুমেন্ট open হয়

ফলে নিচের চিত্রের মত একটি বক্স আসে যেখান থেকে আপনাকে ডকুমেন্টের সাইজ নির্ধারন করে দিতে হয়

এখানে height এবং width এর মান ইচ্ছামত দিতে পারেন আবার preset বক্স থেকেও predefined মান নির্ধারণ করে দিতে পারেনHeight এবং width এর একক হিসেবে pixel,inch,cm,mm সিলেক্ট করতে পারেনএরপর ok বাটনে ক্লিক করার পর আপনার দেয়া মানের উপর ভিত্তি করে নিচের মত উইন্ডো পাবেনএখানেই আপনাকে ফটোশপের কাজ করতে হবে


........মূলত ফটোশপে হাতেখড়ি দেয়ার জন্য যা জানা দরকার,এটা মোটামুটিভাবে তাইএর বাইরেও অনেককিছু আছেতবে সব কিছু তো আর এভাবে বর্ণনা করা সম্ভব নয়আর তাছাড়া এভাবে সব কিছু বর্ণনা করলে আপনাদের তা মনেও থাকবে নাতাই পরবর্তী পর্বে প্রজেক্টের মাধ্যমে ফটোশপ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছিআর প্রজেক্টগুলো বুঝতে যেনো কোনো সমস্যা না হয় তাই এ পর্বে ফটোশপ সম্পর্কে সাধারণ ধারণা দিলাম মাত্র,আর কিছু নয়

0 comments:

Dhaka
World time

Follow us